Best 5 T-shirt Boys must have | 5 টি সেরা টি-শার্ট যা ছেলেদের অবশ্যই থাকা উচিত

 

টি-শার্ট হলো এমন একটি ক্লথ আইটেম যেটা কিনা প্রায় টা 99.9 শতাংশ ছেলেই পরে থাকে। আর এটি আমাদের কান্ট্রি বা ওভার অল ওয়ার্ল্ডে মোস্ট কমন একটি ক্লথ আইটেম। তবে বাজারে অনেক রকমের টি-শার্ট পাওয়া যায় এর মধ্যে কিছু কিছু টি শার্ট রয়েছে যেগুলো পড়লে আপনাকে অনেক বেশি স্টাইলিস্ট এবং হ্যান্ডসাম দেখাবে। আবার কিছু কিছু এমনও টিশার্ট রয়েছে  যেগুলো পরলে স্টাইলের পুরো বারোটা বেজে যাবে। আর তার সাথে আপনাকে একদম আনস্মার্ট লাগারে। এ সকল টি-শার্ট গুলো যদি আপনি কেনেন তাহলে এটি সম্পূর্ণ আপনার ওয়েস্ট অফ মানি হবে। তাই আজকের লেখার মাধ্যমে এমন কয়েকটি টি-শার্টের কথা বলবো যে টি-শার্ট গুলো একটি ছেলের কাছে অবশ্যই অবশ্যই থাকা দরকার।


এমন কি যে টিশার্ট গুলো পড়লে সকল ধরনের ছেলেকে অনেক বেশি স্টাইলিশ এবং হ্যান্ডসাম লাগবে। তো সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।


লিস্টের নাম্বার ওয়ান পজিশনে যে টি-শার্টটি রয়েছে সেটি হচ্ছে একটি ব্ল্যাক টি শার্ট

হ্যা বন্ধুরা একটি ব্ল্যাক টি শার্ট কে টি-শার্ট জগতের কিং বলা হয়। তো ব্ল্যাক টিশার্ট বলতে আমি প্লেন ব্ল্যাক টিশার্ট কে বুঝিয়েছি কিন্তু কোন কার্টুন কিংবা লোগো প্রিন্টেড ব্ল্যাক টি-শার্ট এর কথা নয়।

আর এই ব্ল্যাক টিশার্ট গুলো কথা যদি বলি তাহলে এই টিশার্ট গুলো অনেক অনেক বেশি ভার্সেটাইল এবং এটি আরেকটি অনেক বড় অ্যাডভান্টেজ হচ্ছে এটি সব ধরনের আউটপুটের সাথে খুব ইজিলি ম্যাচ করে যায়। তো এটি চাইলে জোগার্সের সাথেও পড়তে পারবেন, চাইলে জিন্সের সাথে পড়তে পারেন, চাইলে আপনি চিনোর সাতেও পরতে পারেন। আর এগুলোর আরেকটি বিশেষ দিক হচ্ছে এগুলো যদি আপনি লেয়ারিং করেন তারপরও এগুলো অনেক অনেক বেশি স্ট্যান্ডার্ড এবং স্টাইলিস্ট দেখায়। এগুলোকে চাইলে আপনি হুডির নিচেও লেয়ারিং করতে পারেন, চাইলে শার্টের সাথেও লেয়ারিং করতে পারেন এমনকি আপনি চাইলে জ্যাকেটের সাথে লেয়ারিং করতে পারেন। তো যেভাবেই পরেন না কেনো আপনাকে অনেক অনেক বেশি স্ট্যান্ডর্ড লাগবে। তাই আপনার কাছে যদি একটি ব্ল্যাক টিশার্ট না থাকে তাহলে আপনার অবশ্যই এই টিশার্ট কেনা উচিৎ।


নাম্বার টু কিমিনাল সেকেন্ড পজিশনে টিশার্ট টি রয়েছে সেটি হচ্ছে একটি হোয়াইট টি শার্ট। আর সিমিলারলি আমি এখানে হোয়াইট টিশার্ট বলতে এমন প্লেন হোয়াইট টিশার্টের কথা বলেছি। আর এই টিশার্ট গুলোর কথা যদি আমি বলি তাহলে এই টি-শার্ট গুলো ব্ল্যাক টি শার্ট এর মত অন্যতম ভর্সেটাইল t-shirt এর লিস্টে পড়ে। আর আপনি যদি এ টিশার্ট গুলো আপনার বডির সাথে ফিটেস্ট করে পরেন তাহলে তো আপনাকে আগুনের গোলা লাগবে। তবে আপনি যদি একজন ডার্ক স্কিন কিংবা কালো ছেলে হন তাহলে এই হোয়াইট টিশার্ট গুলো রেগুলার ইউজ করা থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ এই হোয়াইট কালারের কন্ট্রেস্ট একটু হাই হওয়ার কারণে এটি আপনার স্কিন টোর কে হাইলাইট করতে পারে। তবে আপনি কোন শার্ট কিংবা জ্যাকেট কিংবা হুডির নিচে লেয়ারিং করে নিঃসন্দেহে এ টিশার্ট টি পরতে পারেন। লেয়ারিং এর ক্ষেত্রে হোয়াইট টিশার্ট কে টক্কর দেওয়ার মতো অন্য কোন টিশার্ট আছে বলে আমার মনে হয় না। শুধু ব্ল্যাক টি শার্ট বাদে। তো এই টিশার্ট গুলো লেয়ারিং করলে সব থেকে বেশি সুন্দর দেখা যায়। আর আপনি চাইলে সকল ধরনের আপার ক্লথের নিচে এই হোয়াইট টিশার্ট গুলো লেয়ারিং করতে পারেন আপনাকে অনেক বেশি সুন্দর দেখাবে। তো আপনার কাছে একটি হোয়াইট টিশার্ট না থাকে তাহলে অবশ্য আপনার একটি কেনা দরকার।


লিস্টের নাম্বার 3 নাম্বার থার্ড পজিশনে তাই টি-শার্টে টি রয়েছে সেটি হচ্ছে একটি প্রিন্টেড টি-শার্ট। আর আমি এখানে প্রিন্টেড বললে কোন লোগো কিংবা কার্টুন প্রিন্টেড টি-শার্ট এর কথা বলিনি। কারণ এগুলো একদম ভালো হয় না এবং এগুলো পরলে আপনাকে একদম ছোট বাচ্চার মতো লাগবে। আর এখানে আমি প্রিন্টেড টি-শার্ট বলতে বুঝিয়েছি রাইট সাইটের টি-শার্ট গুলোর কথা। যেগুলোর মধ্যে প্রিন্ট আছে তবে একটি ব্যালেন্স রয়েছে। যার ফলে এই প্রিন্ট গুলো এ ধরনের টিশার্ট গুলোকে অনেক বেশি ভার্সেটাইল করে তোলে। আপনি যদি রেগুলার ইউজের জন্য টি-শার্ট কেনেন তাহলে আপনার জন্য বেস্ট বেস্ট বেস্ট অপশন হতে চলেছে এই টি-শার্ট গুলি। কারন হোয়াইট টিশার্ট এবং ব্ল্যাক টিশার্ট এগুলো এখন অনেক কমন এগুলো প্রায় সবাই পরে কিন্তু এই ধরনের প্রিন্টেড টি-শার্ট গুলো আপনাকে সবার থেকে আলাদা একটি প্রিমিয়াম লুক দেবে। আর আপনাকে পার্সোনালি যদি আমি আমার কথা বলি তাহলে আমার কাছেও এ টিশার্ট গুলো রয়েছে। রেগুলার ইউজের ক্ষেত্রে আমিও এ টিশার্ট গুলো ইউজ করে থাকি। আর এগুলোকে আপনি জিন্স, চিনো, জোগার্স এগুলোর যে প্যান্টের সাথেই পরুন না কেন এগুলো ১০০ পারসেন্ট ম্যাচ করবে। আপনাকে অনেক বেশি স্টাইলিস্ট এবং হ্যান্ডসাম দেখাবে। তাই আপনার কাছে যদি এই ধরনের প্রিন্টেড টিশার্ট না থাকে তাহলে অবশ্যই কেনা উচিৎ।



আর লিস্টের নাম্বার ফোর বাই ফোর পজিশনে যে টি-শার্টটি রয়েছে সেটি হচ্ছে একটি ফুল স্লিপ টিশার্ট। হ্যা বন্ধুরা আপনার কাছে অবশ্যই অবশ্যই একটি ফুল স্লিপ টিশার্ট থাকা দরকার। কারণ উইন্টারে কিংবা ঠান্ডার সময় আমরা হাফ স্লিপ t-shirt পড়তে পারিনা। আর তাই তখন টিশার্ট হিসেবে পরার জন্য আপনারা এই ফুল হাতার টিশার্ট গুলো পড়তে পারেন। আর এই ফুল স্লিপ টিশার্ট আপনি যদি আপনার কোনই পর্যন্ত তুলে দিয়ে ফোরাম কে স্পোজ করেন তাহলে বিশ্বাস করেন ভাই আপনার লুক পুরাই চেঞ্জ হয়ে যাবে। আপনাকে দেখতে একদম অসাম লাগবে আর তার সাথে আপনি যদি চান তাহলে গরমের সময় এ টিশার্ট গুলো পরতে পারেন। এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর ডিপেন্ড করে। আর হ্যাঁ আপনি কখনোই ডিজাইন, কার্টুন অথবা লোগো প্রিন্টেড টি-শার্ট কিনবেন না। আপনি সবসময় প্লেন কিংবা সলিড ফুল স্লিপ টিশার্ট কেনার চেষ্টা করবেন।


আর লিস্টের নাম্বার ফাইভ পারফেক্ট পজিশনে যে টি-শার্টটি রয়েছে সেটি হচ্ছে একটি টরটারনিক টি-শার্ট। এই টরটারনিক হচ্ছে মূলত উইন্টার কিংবা শীতকালে পরার টি-শার্ট। আর এই টি-শার্ট গুলো চাইলে খুব ইজিলি রেগুলার ইউজ করতে পারেন। তাতে আপনাকে অনেক অনেক বেশি স্ট্যান্ডার্ড এবং স্টাইলিস্ট লাগবে। আর টরটারনিক মুলত রেগুলার ব্যবহারের ক্ষেত্রে জোগার্স কিংবা ট্রাউজারে সাথে অনেক ভালো মানায়। তাছাড়া আপনি নির্দ্বিধায় এগুলো জিন্সের সাথে পড়তে পারেন। তবে এগুলো যদি আপনি কোন জ্যাকেট কিংবা হুডের নিচে লেয়ারিং করেন তাহলে এ টি-শার্ট গুলো অনেক অনেক বেশি সুন্দর মানায়। তাই আপনার কাছে যদি কোন টরটনিক টিশার্ট না থাকে তাহলে অবশ্যই অবশ্যই এই টিশার্ট গুলোর একটি অন্তত পারচেজ করা উচিত।

সো বন্ধুরা এটাই ছিলো আজকের টপিক। আর বন্ধুরা এটা মনে করবেন না যে আমি আপনাদেন এগুলো কেনার জন্য ফোর্স করতেছি এমন নয়। আমি সুধু এই লেখার মাধ্যমে আপনাকে এটা বলেছি যে এই টিশার্ট গুলো আপনার কাছে অবশ্য অবশ্য থাকা দরকার। আর মুলত এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর ডিপেন্ড করে আপনি এই টিশার্ট গুলো পারচেস করবেন কি না। আশা করি আপনি আমার কথাগুলো ক্লিয়ারলি বুঝতে পেরেছেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url