How to choose right wallet | কিভাবে সঠিক money bag/ওয়ালেট কিনবেন | Best wallet | Wallet guide.

 হায় বন্ধুরা কেমন আছেন? আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করবো একদম ভিন্ন একটি বিষয় নিয়ে।


মানিব্যাগ কিংবা Wallet এটি হলো এমন একটি এক্সেসরি যেটিকে প্রায় ৯৯ শতাংশ মানুষ ব্যবহার করে। কিন্তু তাদের কেউই এটি নিয়ে তেমন মাথা ঘামান না কিংবা গুরুত্ব দেয় না। তবে এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনি যদি ছোট খাটো কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখেন তাহলে এটি আপনার সম্পুর্ন পারসোনালিটি কে নেক্সট লেবেলে নিয়ে যেতে পারে। তাই আজকের এই লেখাটি হতে চলেছে সম্পুর্ন Wallet Guide এর উপরে। 

তো আজকের বিষয় হলো কেমন ওয়ালেট কিনবেন বা, কিনবেন না, ওয়ালেটের রং, ওয়ালেটের সাইজ কিংবা আকৃতি, ওয়ালেটের মেটেরিয়াল, কোথা থেকে কিনবেন আরও অনেক কিছু।

এটা গ্যারান্টি যে আপনি যদি এই লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়েন তবে আপনি আপনার জন্য একটি পারফেক্ট ওয়ালেট বাছাই করতে পারবেন।

নম্বর ওয়ান যে বিষয় টি আপনি কেমন ওয়ালেট কিনবেন নাঃ

প্রথমত, আপনি ভুল করেও কপি ওয়ালেট কিনবেন না। কপি ওয়ালেট আবার কি? কপি ওয়ালেট হলো যে সকল ফেমাস ব্রান্ড রয়েছে যেমন NIKE, PUMS, GUCCI এই সকল ব্রান্ড গুলোর কপি ভার্সন। যে ওয়ালেট গুলো সহজেই বাজারে এক থেকে দেড়শ টাকার মধ্যে পাওয়া যায় কিন্তু ব্রান্ডের লোগো রয়েছে। এ সকল ডুপ্লিকেট সস্তা ওয়ালেট গুলো ব্যবহার করতে মানা করার কারন হচ্ছে এই ওয়ালেট গুলোর মেটেরিয়াল খুবই চিফ কোয়ালিটির হয়ে থাকে। এমনকি এগুলো এতো বেশি এভেলেবেল যে আপনি যদি অরিজিনাল ব্রান্ডের ওয়ালেট নেন তারপরও মানুষ ভাববে যে এটি ফেক। কাজেই কখনো এমন কপি ওয়ালেট ব্যবহার করা উচিৎ না।


দ্বিতীয়ত, কালার ফুল ওয়ালেট, ছবিতে যেমন দেখতে পাচ্ছেন এই ধরনের রংবেরংগের কালারফুল ওয়ালেট কখনোই চুজ করবেন না। কারণ এই ওয়ালেট গুলো একেবারেই কোন পরিবেশে মানায় না। এমনকি এটি কোন প্রকার আউটপুটের সঙ্গে ভালোভাবে যায় না। তারপরও যদি এই ধরনের ওয়ালেট ব্যবহার করেন তাহলে আপনার পার্সোনালিটি একদমই ডাউন করে দেবে।


তৃতীয়ত, স্টিকার অথবা কার্টুন প্রিন্টেড ওয়ালেট, আপনি একজন ছোট্ট বাচ্চা না যে কাটুন প্রিন্টেড ওয়ালেট চুজ করবেন। আসলে আপনি যদি এটি ব্যবহার করেন তাহলে আপনাকে একদম বাচ্চাদের মত লাগবে। তারপরও এই ধরনের ডিজাইন বা কার্টুন প্রিন্টেড ওয়ালেট মেয়েরাই বেশি ব্যবহার করে। তো আপনি যদি জেনে বুঝে এই ধরনের ওয়ালেট ব্যবহার করেন তাহলে নিজেই আপনার নিজের ফ্যাশন টাকে বানের জলে ভাসিয়ে দিচ্ছেন। তাই আপনি যদি একজন বাচ্চা হিসেবে প্রকাশ করতে না চান তাহলে এই ধরনের ওয়ালেট থেকে অবশ্যই দূরে থাকবেন। 

আর হ্যাঁ আরেকটা কথা, আপনারা ভুলেও কার্ড হোল্ডার কিনতে যাবেন না অর্থাৎ ডেবিট কার্ড ক্রেডিট কার্ড রাখার জন্য এক ধরনের কার্ড হোল্ডার রয়েছে ওগুলো অনলাইনে দেখলে মানিব্যাগ ভেবে কিনতে পারেন। কিন্তু যদি মানিব্যাগ ভেবে কার্ড হোল্ডার কিনে ফেলেন তবে টাকা গুলো জলে জাবে।

আরও জানুন,

বাইকের সামনের চাকা কিভাবে তুলবেন?

বাইক স্টান্ট কিভাবে করবেন?

নম্বর টু বিষয় টি হচ্ছে ওয়ালেটের রং, 

সো আপনাদের ওয়ালেটের জন্য দুইটি এসপেশাল কালার বলবো সেগুলো হলো প্রথমত ব্লাক কিংবা কাল, দ্বিতীয়ত ব্রাউন। এই দুটি কালার ওয়ালেট জগতে সবচেয়ে ভার্সেটাইল এবং স্টাইলিস্ট কালার। আর আপনি যদি কখনো ওয়ালেট কেনেন তাহলে অবশ্যই অবশ্যই এই দুইটা কালারের ওয়ালেট কেনার চেষ্টা করবেন। কিন্তু এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে ব্রাউন কালার তো অনেক প্রকার হয়। যেমন লাইট ব্রাউন, ডিপ ব্রাউন, ডার্ক ব্রাউন তবে আপনি এই 3 রকম ব্রাউন এর মধ্যে সবসময় ডার্ক ব্রাউন চুজ করবেন। কারণ এই কালারটি সবথেকে বেশি স্টান্ডার আর কালো তো কালোই।


নম্বর থ্রি কিংবা থার্ড বিষয় টি হচ্ছে ওয়ালেটের সাইজ বা আকৃতি,

আপনার ওয়ালেটের দৈর্ঘ্য হবে 11-12cm এবং প্রস্থ হবে 9-10cm এর মধ্যে। এখানে সেন্টিমিটারে মাপ বলার কারন হচ্ছে আপনি সেন্টিমিটারে খুব সুক্ষভাবে মাপতে পারবেন। তো আপনার মানিব্যাগ যদি এই মাপের বড় বা, ছোট হয় তবে একদম বে সাইজ হয়ে যাবে।


নম্বর ফোর ওয়ালেটর মেটেরিয়াল,

আপনার ওয়ালেট এর মেটেরিয়াল হতে হবে লেদার অর্থাৎ চামড়া। মার্কেটে বিভিন্ন রকম ম্যাটেরিয়ালের ওয়ালেট দেখতে পাবেন যেমন কাপ অফ প্লাস্টিক কিন্তু আপনি এগুলোর মধ্যে সবসময় লেদার ব্যবহার করবেন। কিন্তু আপনি আবার এক দেড়শ টাকার লেদার ব্যবহার কইরেন না কারন এত কম দামে লেদার নামেই শুধু কামের না। এই ধরনের কম দামি ওয়ালেট গুলো ঠিক ঠাক ভাবে ১৫-২০ দিন টিকবে তারপরই ডিস্টার্ব দেখা দেবে। তাই অবশ্যই একটি ভালো জায়গা থেকে একটু বেশি দাম দিয়ে ওয়ালেট কেনার চেষ্টা করবেন।


নম্বর ফাইব বিষয় টি হচ্ছে কোথা থেকে ওয়ালেট কিনবেন,

অনলাইন-অফলাইন সব জায়গা থেকে ওয়ালেট কিনতে পারেন কোন সমস্যা নেই। সুধু কেনার সময় একটু বেশি দাম দিয়ে কেনার চেষ্টা করবেন। আর ভালো দাম বলতে ৮০০ টাকার উপরে কেনার চেষ্টা করবেন। তবে অফলাইনে অর্থাৎ মার্কেট থেকে কেনার সময় আপনার বিশ্বস্ত দোকান থেকে কিনবেন। না হয় ৪০০ টাকার মাল ৮০০ বলে চালায় দিবে।

তো সব শেষে এই কথাই বলবো, এই কন্টেন্টে সুধু ওয়ালেট নিয়ে আলোচনা করলাম। তো এছাড়াও এমন আরও অনেক এক্সেসরিজ রয়েছে যেমন, বেসলেট, রিং, সানগ্লাস, ওয়াস ইত্যাদি ইত্যাদি। এগুলোকে যদি আপনি সঠিক ভাবে ব্যবহার করেন তাহলে এগুলো আপনার লুক টাকে পুরো নেক্সট লেবেলে নিয়ে যাবে। তাই এই এক্সেসরিজ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে আমাদের সাথেই থাকুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url